বিলকিস খাতুনের স্বামী আবু তাহের মারা গেছেন কয়েক মাস আগে। সংসারের হাল ধরতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন দুটি গরু। সন্তানের মতো পরম যত্নে লালন-পালন করছিলেন। কিন্তু কয়েলের আগুনে গোয়াল ঘরসহ গরু দুটি পুড়ে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানায়, বিলকিস খাতুনের স্বামী ৭ মাস আগে মারা যায়। ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন তিনি। কয়েক মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দুটি গরুর বাছুর কেনেন। রাতে মশার উপদ্রবের কারণে কয়েল ধরালে সেই কয়েল থেকে গোয়াল ঘরে থাকা বিচুলিতে আগুন ধরে যায়। এতে গোয়াল ঘরসহ গরু দুটি পুড়ে মারা যায়। 

তারা আরও বলেন, বিলকিস খাতুন খুবই গরিব। ছেলের উপার্জনে সংসার চলে না। এ কারণে সংসারে বাড়তি আয়ের আশায় ঋণ নিয়ে দুটি গরু কেনেন। গরু দুটির মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েন বিলকিস।

বিলকিস খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঋণের টাকা নিয়ে গরু দুটি কিনেছিলাম। আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে আমার। আমি এখন কিভাবে শোধ করব ঋণের টাকা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই নারীর স্বামী কয়েক মাস আগে মারা গেছে। খুবই দরিদ্র তিনি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য গরু দুটি কিনেছিলেন। কয়েলের আগুনে গরু দুটি মারা গেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ সহায়তা করেছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। সমাজের বিত্তবানদের বিলকিস খাতুনের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি। 

আফজালুল হক/এসপি