তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ভ্যানচালকের নেতৃত্বে বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিণাথপুর ইউনিয়নের শেওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এসময় হামলাকারীরা ফাঁড়ির ভেতরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। হামলায় মেহেদী হাসান নামে এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, হরিনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান ওরফে বিপ্লব, ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ সিকদার, যুবলীগ কর্মী বশির উদ্দীন, মাসুদুর রহমান, সোলায়মান শরিফ, মঈন সিকদার ও ভ্যানচালক মনির রাঢ়ী। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া।

তিনি বলেন, ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। 

জানা গেছে, শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় হরিনাথপুর বাজারে ব্যাটারি চালিত একটি ভ্যান কনস্টেবল মেহেদী হাসানকে রাস্তা পার হওয়ার সময় ধাক্কা দেয়। তখন ভ্যানচালক মনির রাঢ়ীকে থামিয়ে কয়েকটি থাপ্পড় দেন পুলিশের ওই সদস্য। বিষয়টি ভ্যানচালক মনির রাঢ়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাদল সিকদারকে জানান। 

এরপর বাদল সিকদার রাত ৮টার দিকে দেড় শতাধিক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে কনস্টেবল মেহেদী হাসানকে খুঁজতে থাকে। তাকে পেয়ে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা চালান। পুলিশ সদস্যরা এতে বাধা দিলে ফাঁড়ির মধ্যেই মেহেদী হাসানকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তারা ফাঁড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে কনস্টেবল মেহেদী হাসান দাবি করেন, ভ্যানচালক মনির রাঢ়ীকে আমি মারধর করিনি। তাকে গালমন্দ করেছি। বলেছি, এরপর যেন সাবধানে ভ্যান চালায়। বাজার থেকে ফাঁড়িতে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই হামলা চালানো হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী বলেন, বিষয়টি আমি পরবর্তীতে জেনেছি। এ ঘটনায় যারা গ্রেপ্তার ও আসামি হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে নিশ্চিত হয়েছি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই