জমির আগাছা পরিষ্কারের জন্য বাজার থেকে পেপসির বোতলে করে ঘাস মারা বিষ নিয়ে আসেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের নিপুল জোয়ার্দ্দার। বিষের বোতল ঘরের এক কোণে রেখে সন্ধ্যায় গরুকে খাবার খাওয়াতে যান। তার ছোট্ট ছেলে সেটি খেয়াল করে। সে ভাবে তার বাবা বাজার থেকে তার জন্য পেপসি এনেছে। 

শিশুটি তার বড় বোনকে পেপসির ভাগ দেবে না বলে চুপিচুপি সেটি পান করে। এ সময় পেপসির স্বাদ না পেয়ে সে তার বোনকে বলে, তখন বাড়িতে হৈ চৈ শুরু হয়। শিশুটিকে প্রথমে স্থাণীয় হাসপাতালে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় পেপসির বোতলে রাখা বিষ পান করে ৮ বছরের শিশু হাসানুর জোয়ার্দ্দার। গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার তাকে রেফার্ড করেন কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসাপাতলে। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে রোববার (২৭ মার্চ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই সোমবার (২৮ মার্চ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

হাসানুর জোয়ার্দ্দার ব্রম্মপুর গ্রামের নিপুল জোয়ার্দ্দারের ছেলে এবং ব্রহ্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

হাসানুরের খালা সালমা খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসানুর মারা গেছে। সে সবাইকে কাঁদিয়ে গেল।

শৈলকুপা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিরুজ্জামান বলেন, নিপুলের ৮ বছরে ছেলে পেপসি ভেবে বিষপান করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার পরিবার মৃত্যুর সংবাদটি থানায় নিশ্চিত করেছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর