কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বর্ণের কারিগর ইমরান শেখ (২২) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম শহিদুর রহমান ওরফে পিরু মিঠুন। তিনি কুমারখালী উপজেলার দড়ি কোমর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাউজিং এস্টেট এলাকার ফজলুল বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান জজ ও কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার সনদাহ গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে নাহিদ হাসান, খোকসা উপজেলার চক হরিপুর গ্রামের মুন্সি নাসির উদ্দিনের ছেলে মুন্সি অনিক হাসান ওরফে ইমরান ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তুলশীতলা গ্রামের আফাজুদ্দীনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে রাজু। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের দুইদিন পর ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইমরান হোসেনের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের দৌড়গরিয়া গ্রামের মাঠের ভুট্টাখেত থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ইমরান হোসেন দৌড়গরিয়া গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে। সেদিন ইমরানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ মার্চ নিহতের বাবা বাদশা শেখ আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। 

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের  ২৩ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৯ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ইমরান হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, দুইজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

রাজু আহমেদ/আরএআর