সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন ও সম্পত্তির ক্ষতি করার অভিযোগে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতের মামলা হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে আগামী ১১ মে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) খাগড়াছড়ি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতের বিচারক মো. ফরিদ আলম এ নির্দেশ দেন। 

অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য হলেন, পানছড়ি থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম, উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন ও কনস্টেবল পারভেজ আহাম্মদ।  

বাদীপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি ২০১৯ সালের। পানছড়ি উপজেলার হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা মো. ফজল মিয়ার ৪৮ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছিলেন অভিযুক্তরা। দখলকৃত ওই ভূমি থানা সংলগ্ন হওয়ায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন তারা।

বাদীর এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, ভূমি দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার সময় বাদী বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে হুমকি দেয়। বলা হয়, এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদী এবং তার ছেলেকে অবৈধ অস্ত্র কিংবা মাদক দিয়ে মামলায় জড়ানো হবে। এরই জের ধরে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাদীর ছেলের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জোর করে থানায় নিয়ে যান অভিযুক্তরা। নষ্ট করে ফেলেন ওই মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন এবং চেচিস নাম্বার। এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলেও মামলা নেয়নি তারা। 

পরে বাদী আদালতে এসে মামলা দায়ের করেন। আদালত সেই মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। পুলিশ পরপর দু’বার তদন্ত করলেও ঘটনার সত্যতা নেই উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। বাদী তাতে নারাজি দিলে জুডিসিয়াল তদন্তের আদেশ দেন আদালত।

অবশেষে জুডিসিয়াল তদন্ত এবং সিআইডি প্রতিবেদনে বাদীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে মামলাটি আমলে নিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে সমন পাঠায় আদালত। ওই সমনে পরবর্তী তারিখে অর্থাৎ আগামী ১১ মে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতে নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের পুলিশ উপ-পরিদর্শক রাজু বড়ুয়া বলেন, আইন সবার জন্য সমান। বিজ্ঞ আদালতে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্য নির্দেশিত সময়ে হাজির হবেন।

জাফর সবুজ/এমএএস