জয়পুরহাটে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক টান্সফরমার চুরি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সানোয়ার হোসেন (২৮), সাদ্দাম হোসেন (৩২), আব্দুল মোমেন (৩২) ও তাজেল হোসেন (২৮)। তারা সকলেই সদর উপজেলার ধারকি গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে সানোয়ার হোসেন টান্সফরমার চোর চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী।

সানোয়ার হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের নিকট থেকে বৈদ্যুতিক পিলার থেকে টান্সফরমার নামানোর লাইলন রশি, দেশীয় অস্ত্র ও দশ কেজি কয়েলের তামার তার জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ধারকি গ্রামের ফসলি মাঠের গোলাম সারোয়ার জনির গভীর নলকূপের দশ কেভির  তিনটি বৈদ্যুতিক টান্সফরমার চুরি হয়। ওই দিন রাতেই চোরেরা তিনটি টান্সফরমারের কয়েলের তামার তার খুলে নেয়। এ ঘটনার পরদিন ১২ ফেরুয়ারি থানায় একটি মামলা করা হয়। এরপর ট্রান্সফরমার চোরেরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে। কয়েক দিন আগে ট্রান্সফরমার চুরি চক্রের মুল পরিকল্পনাকারী সানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার অন্য তিন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ (বৃহস্পতিবার) দুই আসামি সানোয়ার হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর চারজন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আলমগীর জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সানোয়ার হোসেন টান্সফরমার চুরি চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ চক্রের সদস্যদের চিহ্নত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে রশি, দেশীয় অস্ত্র ও দশ কেজি তামার তার জব্দ করা হয়।

আসামিদের মধ্যে সানোয়ার হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা দুইজন নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চম্পক কুমার/আরআই