রংপুরের কাউনিয়ায় প্রতিবেশীর ঘর থেকে সাইদুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিবেশী রফিকুল ও তার স্ত্রী বুলবুলিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ওই দম্পতির ঘর থেকে সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এর আগে শুক্রবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাইদুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোথাও তার সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। নিখোঁজের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ পাওয়া গেছে। 

নিহত সাইদুল ইসলাম কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজমখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। 

কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান জানান, শনিবার সকালে সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী রফিকুলের বাড়ির উঠানে রক্ত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় তার পরিবারসহ স্থানীয়রা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এসে রফিকুলের শোয়ার ঘর থেকে সাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে সেখানে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

ঘাড়ে কোপ দিয়ে সাইদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রফিকুল ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, রফিকুলের স্ত্রী বুলবুলির সঙ্গে সাইদুলের পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এছাড়াও ওই পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে। সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। সাইদুলকে যেভাবে ঘাড় কোপ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা নৃশংস। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর