চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ইব্রাহিমের মরদেহ ১০০ দিন পার হলেও ফেরত পায়নি তার স্বজনরা। মরদেহ কোন অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে পরিবার।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মরদেহ ফেরত দিতে চাইলেও নিচ্ছে না বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে কৌশলগত কারণে ওই যুবকের মরদেহ ফেরত নেওয়া হবে না বলে দাবি করেছে বিজিবি।

এর আগে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম হোসেন (২৪) নামে বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম উপজেলার আজমতপুর ঢুলিপাড়া গ্রামের দুখু আলীর ছেলে।

ইব্রাহিমের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, তিন মাসের অধিক সময় আগে আমরা বিজিবি সূত্রে জানতে পারি বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন। তবে মরদেহ সীমান্তের ভারতীয় অংশে পড়ে আছে। ইব্রাহিম নিহতের হওয়া আজ ১০০ দিন পর হয়ে গেল। বার বার বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।

ইব্রাহিমের মা ফুরকুনি বেগম বলেন, আমার ইব্রাহিমের মারা যাওয়ার আজ তিন মাস পার হয়ে গেছে। তবুও মরদেহ দেখতে পেলাম না। কোথায় আছে মরদেহ তাও জানতে পারলাম না। আমার সংসারে আয় রোজগারের একমাত্র উৎস ছিল ইব্রাহিম। কিন্তু সে তো দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। শেষবার ছেলের মুখটা দেখতে পেলে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। তাকে দাফন-কাফন করতে পারলেও মনের মধ্যে প্রশান্তি আসত।

এ বিষয়ে শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের পরিবারকে আগেই জানিয়ে দিয়েছি, আমরা মরদেহ গ্রহণ করব না। এনিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ যোগাযোগ করেছিল। তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মরদেহ নেওয়া হবে না। আপনাদের যা প্রক্রিয়া আছে তা আপনারা করেন।

কেন মরদেহ গ্রহণ করা হবে না, বিষয়টি জানলে চাইলে বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। কৌশলগত কারণেই আমরা সীমান্তে হত্যার পর মরদেহ গ্রহণ করি না। 

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এসকেডি