সরকার নতুন করে পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দিলেও টানা সাত দিন ধরে বন্ধ রয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। এদিকে ক্রেতা-সংকটের কারণে আগের আমদানি করা বেশির ভাগ পেঁয়াজ আড়তগুলোয় পচে যাচ্ছে।

ফলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে আড়তগুলোয় পচে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তে থরে থরে সাজানো হয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। তবে আড়তগুলোয় ক্রেতার দেখা মেলেনি। পচে যাওয়া পেঁয়াজগুলো ফেলে দিতে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তদাররা। অন্যদিকে একটু ভালো মানের পেঁয়াজের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দরে। এ ছাড়া আড়তগুলোয় প্রকারভেদে কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা। তারপরও মিলছে না ক্রেতা।

হিলিতে পেঁয়াজ কিনতে আসা রবিউল ইসলাম নামের একজন বলেন, হিলিতে আজ পেঁয়াজ কিনতে এলাম। এসে দেখি এখানকার পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে। তারপরও দাম অনেক কম। তাই পচা পেঁয়াজের বস্তার মধ্যে ভালো দেখে কিছু পেঁয়াজ কিনলাম।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবু হোসেন বলেন, সরকার আইপি বন্ধ করবে আশঙ্কায় রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেশি বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করি। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ অতিরিক্ত গরমের কারণে গুদামে পচে যেতে শুরু হয়েছে।

প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ বস্তা পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে। এ ছাড়া বন্দর এলাকায় তেমন একটা ক্রেতা নেই। তাই পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না।

সোহেল/এনএ