জয়পুরহাটে একটি ডাকাতি মামলার রায়ে ৬ ডাকাতকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মামলার ৬ জন আসামিকে খালাস করে দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে চোরাকারবারির আরেকটি মামলায় একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম সারোয়ার পৃথক দুটি মামলার রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় সব আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।

জয়পুরহাট জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ ডাকাত হলেন সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার আজাহার আলীর ছেলে ছানোয়ার, মৃত ধনবর আলীর ছেলে ফরহাদ, মৃত হাবিজার রহমানের ছেলে সাজ্জাদ, পারুলিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মনোয়ার হোসেন, পুরানাপৈলের ওমর আলীর ছেলে দুদু মিয়া ও পাঁচবিবি উপজেলার গুদইল গ্রামের গাহপাগলার ছেলে মো. মাবুদ।

আর চোরাকারবারি মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন মো. বিটল। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে।

আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৭ মার্চ রাতে হিলি থেকে একটি প্রাইভেট কারে কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে জয়পুরহাট শহরে আসছিলেন ড্রাইভার আজিজার রহমান। পথে সদর থানার বনখুর এলাকায় সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল তাদের পথ রোধ করে। এ সময় প্রাইভেট কারে থাকা লোকজনদের তারা মারপিট করে সোনার চেইন, মোবাইল ও টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরের দিন আজিজার বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলা করেন।

পরে একই বছরের ১৭ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্তকারী অফিসার আবু তৈয়ব মো. বেলাল হোসেন ১২ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন এবং মামলার ৬ জনকে খালাস দেন।

অন্যদিকে, ২০০৪ সালের ২৯ আগস্ট বিটল নামে একজনের কাছ থেকে পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়া এলাকায় চোরাই পথে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ প্যাকেট ফাইভ স্টার মেহেন্দী ও ১ হাজার ৮০০টি কলমের শিস জব্দ করে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবি বিটলের নামে মামলা করেন। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

চম্পক কুমার/এনএ