ইনসেটে নিহত আতিকুর রহমান সুমন

পরকীয়া প্রেমের জেরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান সুমন (২৮) খুন হন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন। এ ঘটনায় সুমনের পরকীয়া প্রেমিকার স্বামী শরীফ মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (০৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শরীফ বাঘাউড়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে।

এর আগে গত সোমবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে বাঘাউড়া গ্রামে ভাড়া বাড়িতে খুন হন সুমন। তিনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে। বাঘাউড়া গ্রামে সুমনের একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। তিনি কয়েক বছর ধরে ওই গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে সুমনকে গুলি করে হত্যা করার কথা জানানো হলেও ময়নাতদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে- দেশীয় অস্ত্র টেঁটার আঘাতে তার মৃত্যু হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, শরীফের চুরির স্বভাবের কারণে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীকে একাধিকবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। পরে জানতে পারেন- ফার্নিচার ব্যবসায়ী সুমনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এবং তারা দুইজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য ক্ষুব্ধ হয়ে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শরীফ।

তিনি আরও বলেন, সুমনের বুকে ছিদ্র দেখে আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। কিন্তু ময়নানদন্তে জানা গেছে সুমনের বুকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করার কারণে তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই সুমনকে হত্যা করেছেন এবং হত্যার পরিকল্পনা তিনি একাই বাস্তবায়ন করেন। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির হরা হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর