জলের দেবীকে তুষ্ট করতে গঙ্গা পূজা করছেন যতিন্দ্রপুর গ্রামের নারীরা /ছবি- ঢাকাপোস্ট

ভারতের চেরাপুঞ্জ থেকে নেমে আসা ঢলে টইটম্বুর সুনামগঞ্জের নদ-নদী। এতে বাড়ছে ঝুঁকি, ভাঙছে ফসল রক্ষা বাঁধ, তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের কাঁচা ধান। নদীর পানি কমার জন্য হাওরপাড়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে প্রার্থনা করছেন। বোরো ফসল যেন পাহাড়ি ঢলের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায়- প্রার্থনা সবার।

ভারতে চেরাপুঞ্জিতে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ছুঁইছুঁই। অসময়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরবাসীর। এক ফসলি বোরো ধান রক্ষায় ৭২৯টি ফসল রক্ষা বাঁধ করা হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেঙে যাচ্ছে অনেক বাঁধ। এতে একমাত্র অবলম্বনের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে পানির নিচে। নিঃস্ব হচ্ছেন হাজারও পরিবার।

পাহাড়ি ঢলের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে জামালগঞ্জ উপজেলার বেলি ইউনিয়নের যতিন্দ্রপুর গ্রামের নারীরা গঙ্গা পূজা করছেন।

পূজারিরা জানান, গঙ্গাদেবী হলেন জলের দেবতা। জলের দেবী গঙ্গা মানুষের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে অধিক পানি দিচ্ছেন। নদীতে পানি বেড়ে হাওর তলিয়ে যাচ্ছে। তাই জলের দেবীকে তুষ্ট করতেই গঙ্গাদেবীর পূজা করছেন তারা।

যতিন্দ্রপুরের শ্রিপ্রা রাণী দাস বললেন, আমাদের হাওরের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাওর তলিয়ে গেলে আমরা সবদিক দিয়ে লোকসানে পড়ব। গরুর খাবার পাবে না। ধানও যাতে কাটতে পারি, গরুও যাতে রক্ষা করতে পারি তাই গঙ্গার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।

একই গ্রামের বাসিন্দা আসতি পাল ও জয়ধ্বনি পাল বললেন, আমরা গঙ্গা পূজা করছি। গঙ্গা যাতে সন্তুষ্ট হয়। পানি সবকিছু নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের সবকিছু গঙ্গা রক্ষা করবেন। নদীর পানি কমে যাক, জমিতে আবাদকৃত বোরো ধান কৃষকের গোলায় উঠুক এমনটি প্রত্যাশা আমাদের।

সাইদুর রহমান আসাদ/ওএফ