মাদারীপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানিসহ নানা হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংযোগ পেতে টাকা জমা দেওয়ার ছয় মাস পেরোলেও সংযোগ মিলছে না। এ ছাড়া ভৌতিক বিলের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অনেক সেবাগ্রহীতা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ওয়ানলাইনে আবেদন করে জামানতের টাকা জমা নেওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপন করার কথা। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোকের সুপারিশ ছাড়া অনেক গ্রাহক ছয় মাসেও পাচ্ছেন না বিদ্যুৎ-সংযোগ। আবার পুনঃসংযোগ পেতেও গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলেও সময়মতো প্রতিকার মিলছে না।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন হয়েছে প্রায় দুই-তিন বছর আগে। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ নিতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।

সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনিচ চৌধুরী নামের এক গ্রাহক অভিযোগ করে জানান, বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য দেড় মাস আগে দুবার অনলাইনে সব জামানত জমা দিয়ে আবেদন করেন। এখনো তিনি সংযোগ পাননি। এই রমজানে প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তার পরিবার।

একই উপজেলা ধুরাইল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, অনলাইনে আবেদনের পর ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সংযোগ পাননি তিনি। পরে দালালদের মাধ্যমে বাড়তি টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ পেয়েছেন।

এ ছাড়া ভুতুড়ে বিলের শিকার হন অনেক গ্রাহক। দেখা যায়, দুটি ফ্যান, তিনটি বাতি বা একটি ফ্রিজ ব্যবহার করে দিতে হচ্ছে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এ বিষয়ে জানালেও সমাধান পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মাদ জোনাব আলী জানান, সঠিকভাবে আবেদন করলে সাত দিনের মধ্যে বাড়িতে আবাসিক সংযোগ দিয়ে থাকি। তবে আমাদের অফিসের কারও গাফিলতি থাকলে আমরা অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি আরও বলেন, যারা সংযোগ এখনো পাননি, তাদের সংযোগ আগামীকালের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের এখান থেকে আশা করি আর কোনো গ্রাহক হয়রানি থাকবে না।

নাজমুল মোড়ল/এনএ