ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর থেকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে লাঙ্গলবন্দে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে পরিবহনের এ জট লেগেছে। এতে কয়েকশ পরিবহনের হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।

শনিবার (০৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের তীব্রতা বেশি। সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত গাড়ি একরকম দাঁড়িয়ে আছে। ফলে রাস্তায় বের হওয়া অনেকে গন্তব্যের দিকে না গিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।

ঢাকামুখী লেনেও যানজট তৈরি হয়েছে। ঢাকায় ঢুকতে ইচ্ছুক সোনারগাঁও ও আশপাশের এলাকার অনেক যাত্রীকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক্ষণ পরপর যে দুয়েকটি বাস আসছে সেগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।  

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মদনপুর থেকে সায়েদাবাদের ৩৫ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা করে নিচ্ছে। উল্টো পথে চিটাগাংরোড থেকে মোগরাপারা চৌরাস্তার ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বাসের হেলপাররা বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা নানা কারণ দেখাচ্ছেন। তারা জানান, যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। এজন্য তারা ভাড়া সামান্য বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

কথা হয় আলী হোসেন নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, শিমরাইল মোড় থেকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তার উদ্দেশে তিনি সকাল ১০টায় রওনা দেন। দেড় ঘণ্টায় তিনি মাত্র মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন।

শামসুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি সোনারগাঁওয়ের অফিসের উদ্দেশে চিটাগাংরোড থেকে বের হোন। যানজটের ফলে কাঁচপুর পর্যন্ত গিয়ে ফেরত এসেছেন। 

কথা হয় আবদুর রহমান নামে আরেক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, জরুরি কাজে মেঘনাঘাটে যাওয়ার জন্য তিনি সকাল ১০টায় শিমরাইল মোড় থেকে বের হন। কিন্তু এখন তাকে উল্টোপথে রিকশাযোগে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। এজন্য তার বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান জানান, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। এর ফলে সকাল থেকে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত এমন যানজট থাকতে পারে বলে জানান তিনি। যানজট নিরসনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ ফরিদ/এসপি/জেএস