শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রেজাউল করি কে হেনেস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রকল্প কর্মকর্তা বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় মামলা করেন। এতে ওই ইউপি সদস্য নান্নু সরদারকে গ্রেপ্তার করেন ডামুড্যা থানা পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নান্নু সরদার উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

প্রকল্প অফিস ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রেজাউল করিম ইসলামপুরে সরকারি টিয়ার কাবিখা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে যান। রাস্তার কাজের অনিয়ম দেখতে পান। যেসব জায়গায় মাপ নিয়ে সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করতে বলেন নান্নু সরদারকে। বিষয়টি নিয়ে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন নান্নু সরদার। এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তা রেজাউল করিম ডামুড্যা থানায় অভিযোগ করেন।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইসলামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নান্নু সরদারের মাধ্যমে টিয়ার কাবিখার বরাদ্দকৃত রাস্তার কাজ চলছে। আমি সেই রাস্তার পরিদর্শনে যাই। সেখানে গিয়ে কাজের অনিয়ম ধরায় সে ক্ষেপে যায়। এক পর্যায়ে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এতে সে ক্ষান্ত হয় নি আমার গায়ে হাত তুলে ইউপি সদস্য নান্নু সরদার। আমি ডামুড্যা থানায় অভিযোগ করেছি।

ইউপি সদস্য নান্নু সরদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম বলেন, আমার স্বামী নান্নু সরদার দুই মাস ধরে কাজ শেষ করেছে। কিন্তু বিল পাচ্ছেনা। তা ছাড়া নির্বাচন করে হাত খালি হয়ে গেছে। বর্তমানে হাতে কোন টাকা নেই। এমনিতেই তাঁর মন খারাপ তারপর আবার এ কাজের বিল পাচ্ছেনা। তাই এ বিষয় নিয়ে অফিসারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম ইউপি সদস্য নান্নুর বিরুদ্ধে শুক্রবার মামলা করেন। পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইউপি সদস্য নান্নু সরদারকে গ্রেপ্তার করেছি। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএফ