এবার শাবনূরের মেডিকেলে ভর্তির জন্য অর্থসহায়তা করেছেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের পক্ষে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন তার কার্যালয়ে শাবনূরের হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন।

এর আগে অর্থের অভাবে থমকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পেয়েও থমকে গিয়েছিল শাবনুরের স্বপ্ন। এবার সহযোগিতা পেয়ে আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন শাবনূর।

আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে শাবনূর বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আমার পথচলা অনিশ্চিত ছিল। সেটি পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের এই সহযোগিতায় সচল হয়েছে। অনলাইন ঢাকা পোস্টকেও ধন্যবাদ।

এ ছাড়া নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েক গণ্যমান্য ব্যক্তি শাবনূরের পড়াশোনার খরচ চালাতে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, গণমাধ্যমে শাবনূরের ভর্তি অনিশ্চয়তার কথা জানতে পারি। এই মেধাবী মুখটি কাজে লাগাতে তার ভর্তির জন্য যাবতীয় খরচ আমি দিয়েছি। শাবনূরকে বলা হয়েছে তার পড়াশোনার যেকোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন তার পাশে আছে।

প্রসঙ্গত, শাবনূর পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ কামারকাঠী গ্রামের দিনমজুর বাবুল মোল্লা ও গৃহিণী সাবিনা বেগমের বড় মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী। সেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাতেও। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

মো. আবীর হাসান/এনএ