রাজশাহীর চারঘাটে দুই ব্যবসায়ীর গুদামে ৬৬৭ বস্তা সরকারি চাল পাওয়া গেছে। এসব চাল নতুন বস্তায় ভরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছিলেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার কাঁকড়ামারি বাজারে অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় চাল ব্যবসায়ী মোস্তাকিন আলী, তার ছেলে মোবারক হোসেন এবং আরেক চাল ব্যবসায়ী শমশের আলীকে আটক করা হয়েছে। তারা কাঁকড়ামারি এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, মোস্তাকিন আলীর মালিকানাধীন মেম্বার চাল আড়তে ৩৬০ বস্তা  চাল পাওয়া গেছে। এছাড়া পাশের শমশের আলীর মালিকানাধীন বিলাল খাদ্য ভাণ্ডারে পাওয়া গেছে আরও ৩০৭ বস্তা চাল।

পুলিশ বলছে, উদ্ধার হওয়া চাল সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরানো। কিছু চালের বস্তায় সরকারি সিল পাওয়া গেছে। তবে কিছু বস্তা পাল্টে নতুন বস্তায় ভর্তি করেছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার সকাল থেকেই এই কাজ চলছিল। বিলাল খাদ্য গুদাম থেকে চাল বহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪৭৫৭৯) জব্দ করেছে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় জেলার বাঘা থানা পুলিশ। অভিযানে সহায়তা করে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ। অভিযান শেষ হয় সন্ধ্যার দিকে। 

অভিযান শেষে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তাদের কাছে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাঘা খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রাকযোগে চারঘাটে নিয়ে যাওয়ার গোপন সংবাদ ছিল। খবর পেয়ে চারঘাট থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাঁকরামারি বাজারের অভিযান চালানো হয়। সেখানকার দুই ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ টন (৬৬৭ বস্তা) চাল পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

আটকের পর  চাল ব্যবসায়ী মোস্তাকিন আলী ও শমশের আলী পুলিশকে জানিয়েছে, তারা বাঘা খাদ্য গুদাম থেকে এই চাল কিনেছেন। এতে সহায়তা করেছেন খাদ্য গুদামের কর্মচারী আব্দুল হালিম। ট্রাকে করে সেই চাল নিজ নিজ আড়তে এনে সরকারি বস্তা পাল্টে অন্য বস্তায় ভর্তি করছিলেন তারা।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর