সাংগ্রাই উপলক্ষে জল উৎসবে মেতেছে পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায়। শনিবার (১৬ এপ্রিল) এই জল উৎসবের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে বৈসাবি উৎসব শেষ হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ফুলবিজুর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসব শুরু হয়। 

সকালে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় শুরু হয় সাংগ্রাই জল উৎসব। সেখানে মারমা তরুণ-তরুণীরা দলবেঁধে সমাবেত হন। নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে পরস্পরের দিকে জল ছুড়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মারমা তরুণ-তরুণী এই আয়োজনে অংশ নেন। এ আয়োজন দেখতে পাহাড়ের নানা জনগোষ্ঠীর উৎসুক লোকজনও ভিড় করেন।

মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসস) উদ্যোগে এই জল উৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল এই অনুষ্ঠান। দুই বছরের বেদনা বিষাদ ভুলে এবার অনেক বেশি আনন্দে মেতে উঠেছে পার্বত্য জনপদ। বর্ষবরণ ও বিদায়ের এই আয়োজন পার্বত্য জনপদের সবচে বড় ও জনপ্রিয় সামাজিক অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, ১২ এপ্রিল ফুলবিজুর মধ্য দিয়ে যে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল, আজ সাংগ্রাই জল উৎসবের মধ্য দিয়ে তা শেষ হচ্ছে। এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। ক্ষুদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার অনেক কিছু করছে। তারই অংশ হিসেবে সরকারি অর্থায়নে নানান কর্মসূচি বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হচ্ছে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, আমরা গত দুই বছর করোনার কারণে উৎসব করতে পারিনি। এ বছর করোনা সহনশীল মাত্রায় চলে আসায় আমাদের উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকশিত হোক- এটাই প্রত্যাশা।

মিশু মল্লিক/আরএআর