নরসিংদীর রায়পুরায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে দুই ছাত্রীর চাচি কুলসুম আক্তার বাদী হয়ে স্থানীয় ওই কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্যের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে রায়পুরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের দৌলতকান্দি রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই দুই যুবক রেলস্টেশনটির মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন জোনায়েদ আহমেদ (১৯) ও আরমান আলী (১৯)। জোনায়েদ দুই ছাত্রীর আপন ভাই, আর আরমান চাচাতো ভাই। তারা এখন নরসিংদী শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

লিখিত অভিযোগে চাচি কুলসুম আক্তার জানান, আমার দুই ভাতিজি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হৃদয় (১৯) ও তার সদস্য তিন-চারজন মিলে দুজনকে সব সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জোনায়েদ ও আরমানের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই শুক্রবার রাতে মসজিদে নামাজ পড়ে ফেরার সময় হৃদয় ও তার গ্যাংয়ের ২০ থেকে ২৫ জন মিলে ছুরি, ক্ষুর ও চাপাতি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও অভিযোগে করেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দা, ছুরি, চাকু, ক্ষুর, চায়নিজ কুড়াল ও রড নিয়ে মসজিদের সামনে ওত পেতে ছিল। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরপরই তারা জোনায়েদ ও আরমানকে অতর্কিত কুপিয়ে আহত করে। জোনায়েদের মাথায় চায়নিজ কুড়ালের কোপ দেওয়া হয় ও আরমানের কোমরে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার হুমকি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

কুলসুম আক্তার আরও বলেন, হামলাকারীদের সাতজন হলেন রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের দৌলতকান্দি এলাকার হৃদয় মিয়া (১৯), নাহিদ মিয়া (২৫), শামীম মিয়া (১৯), মারুফ মিয়া (১৫), তোফাজ্জল হোসেন (১৮), পায়েল মিয়া (১৯) ও মো. হৃদয় (১৯)। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের শাস্তি চাই আমরা।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।

রাকিবুল ইসলাম/এনএ