ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা

ফরিদগঞ্জের কাছিয়ারা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। এ সময় কেন্দ্রের পাশে পর পর ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলী হায়দার পাঠান। তাকেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদগঞ্জের কাছিয়ারা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, এ কেন্দ্রে ১০ জন কাউন্সিল প্রার্থী রয়েছে। মূলত তাদের কারণেই কেন্দ্রে সহিংসতা ঘটেছে। ভয়ে ভোটার সংখ্যাও কমেছে।

এদিকে, রোববার ভোট শুরুর দুই ঘণ্টা পর সকাল ১০টায় ফরিদগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী ইমাম হোসেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। প্রশাসন আমাকে যে আশ্বাস দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার কিন্তু তার কোনো কিছুই হয়নি। নির্বাচনী এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেটি আমাদের ভোটারদের নিরাপত্তা জন্য নয়। তা দেওয়া হয়েছে ভোট কাটার জন্য।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে দেশের ২৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় ও তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম ধাপে দেশের ৩১টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। 

তিন ধাপে আওয়ামী লীগের ৬৯ জন, বিএনপির ৯ জন ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচনে মেয়র পদে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৬ জন, বিএনপির তিনজন ও স্বতন্ত্র ১৪ জন বিজয়ী হন।

দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির চারজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাসদের একজন ও আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন।

প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির ধানের শীষের দুইজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। 

শরীফুল ইসলাম/এনআই/এসপি