নিহত শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া (বাঁয়ে) এবং গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি শুটার মো. রিমন (ডানে) /ছবি- সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিশু তাসপিয়া আক্তার নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি শুটার রিমনসহ (২৩) পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব- ১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার চরক্লার্ক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় র‌্যাবের সঙ্গে রিমন ও তার সহযোগীদের বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি হাজিপুরের লক্ষ্ণীনারায়ণপুর গ্রামের মোমিন উল্যাহর ছেলে রিমন (২৩), ৩নং আসামি একই গ্রামের তসলিম উদ্দিনের ছেলে মহিন (২৫), ৪নং আসামি শাহাব উল্যাহর ছেলে আকবর হোসেন (২৫), ৫নং আসামি আবদুর রশিদ কেতনার ছেলে সুজন (২৮) এবং ১০নং আসামি লতিফপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম মারির ছেলে নাঈম (২৩)।

র‍্যাব- ১১ এর সিপিসি- ৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে চরক্লার্ক এলাকায় অভিযান চালায় র‍্যাবের একটি দল। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে আসামিরা। এ সময় শিশু তাসপিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ও শুটার মো. রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

খন্দকার মো. শামীম হোসেন আরও বলেন, এ বিষয়ে বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। বর্তমানে আসামিরা আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।

গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া। গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও। গুলিতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিমন, মহিন, বাদশাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এখন পর্যন্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/ওএফ