সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে মুক্তি মিলেছে এক নারীসহ পাঁচ ভারতীয় নাগরিকের। পরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিজ দেশ ভারতে ফিরে গেছেন তারা। দিনাজপুর জেলা কারাগার ও নওগাঁ কারাগারে কারাভোগ করেছেন তারা।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা শিপ্রা রায়ের কাছে ওই পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর করেন।

ফেরত পাঠানো নাগরিকরা হলেন ভারতের বর্ধমান জেলার ভাতা থানার গর্ধমানমারী গ্রামের নরেন হাসদার ছেলে ছামিউল হাসদা, মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার চোরদিঘি গ্রামের একরাম মার্ডির ছেলে রুবেল মার্ডি, বর্ধমান জেলার ভাতা থানার গর্ধমানমারী গ্রামের মন্টু মুর্মুর স্ত্রী শান্তনা মুর্মু, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পশ্চিম আপতুর গ্রামের হোপনার ছেলে লিপলাল হেমবোম ও আসাম জেলার কালাইর আলগা গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে নুর আমিন শেখ।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের তথ্যমতে, ফেরত পাঠানো পাঁচজনের মধ্যে লিপলাল ২০১৫ সালে হিলি সীমান্তের মংলা এলাকা দিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে এসেছিলেন। পরে বিজিবির হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে ছয় বছর জেলে সাজা ভোগ করেন।

নুর আমিন শেখ ২০১৯ সালে একই সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করলে দুই বছর সাজা ভোগ করেন। এ ছাড়া ছামিউল হাসদা, রুবেল মার্ডি ও শান্তনা মুর্মু নওগাঁ জেলার পোরশা সীমান্ত দিয়ে ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং বিজিবির হাতে আটক হলে তারা তিনজনই ২৬ মাস কারাভোগ করেন। তাদের সবার সাজার মেয়াদ আজ শেষ হলে তারা নিজ দেশ ভারতে ফিরে যান।

হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি বদিউজ্জামান জানান, পাঁচ ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির হাতে আটকের পর দিনাজপুর ও নওগাঁ কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। সাজা শেষ হলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সোহেল/এনএ