পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আজ সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই ও জগন্নাথপুরের দুটি বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে রয়েছে জেলার দিরাইয়ের অন্যতম বৃহৎ হাওর বরাম। তবে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বরামের পানি ঠেকাতে পারবেন তারা।
 
সুনামগঞ্জ জেলার বৃহৎ হাওর বরামে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে পানি ঢুকছে। হাওরপাড়ের চণ্ডিপুর-খেজাউড়ার মাঝামাঝি অংশ দিয়ে কালনী নদীর পাড় উপচে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এই হাওরে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমি চাষ হয়।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। পানি ঢোকা ঠেকানো না গেলে বাকি ধান ডুবে যাবে।

আজ সকালে জগন্নাথপুর, ছাতক ও শান্তিগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকার ছোট হাওর দাড়াখাইয়ে পানি ঢুকেছে। হাওরের পাশের কুচিয়ার খাল উপচে পানি ঢোকা শুরু হয়। স্থানীয়ভাবে এই হাওরকে পাঠার হাওর বলা হয়। এই হাওরের বেশিরভাগ ধানই কাটা হয়নি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, বরাম হাওরের চার হাজারের মধ্যে তিন হাজার হেক্টর জমির ধান বুধবার পর্যন্ত কাটা শেষ। পাঠার হাওরের ২০ হেক্টর জমির মধ্যে বেশিরভাগই কাটা শেষ। দুই হাওরেই এখনো ধান কাটা চলছে।

নদীর পানি ধীরে কমায় অসময়ে নির্মিত হাওররক্ষা বাঁধের বেশিরভাগেই হয় ধস, না হয় চুইয়ে হাওরে পানি ঢোকায় বাঁধ নিয়ে উৎকণ্ঠা কমছে না। জমির পাকা ধান কম সময়ে কেটে গোলায় নিতে হচ্ছে, আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ধান শুকাতেও বিলম্ব হচ্ছে। এ অবস্থায় বাঁধের কাজে যাওয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। 

আজ বিকেল ৩টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ২৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ৫.৮১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় যাচ্ছিল।

সাইদুর রহমান আসাদ/আরআই