খুলনার রুপসায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর হৃদয় শেখ হত্যার ঘটনায় রূপসা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত হৃদয় শেখের বাবা হারুন শেখ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। মামলার ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।    

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুশান্ত সরকার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রূপসার ইউসুফ সরদারের ছেলে শাহিন ইসলাম (২০) ও তুহিন ইসলাম (২৪), মো. মহিদুল ইসলাম শেখের ছেলে রিয়াদ হোসেন তন্ময় (২২), গহরআলী মীরের ছেলে মো. ইমরান আলী মীর (২০) ও মো. আফসার শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (২২)। 

এদের মধ্যে শাহিন ইসলাম, তুহিন ইসলাম ও নাজমুল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আজ মো. রিয়াদ হোসেন তন্ময় ও মো. ইমরান আলী মীরকে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

র‌্যাব-৬ জানায়, হৃদয় শেখ ও তার খালাতো ভাই মিঠু তাদের বাড়ির সামনে চায়ের দোকান করত। আসামিরা তাদের দোকান থেকে চা-সিগারেট কেনাকাটা করত। সে সুবাদে আসামি হৃদয়ের নিকট ভিকটিমের খালাতো ভাই মিঠু ৩০০ টাকা পাওনা হন। 

বুধবার (২০ এপ্রিল) মিঠু তার পাওনা টাকা হৃদয়ের কাছে চায়লে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিকেলে রুপসার বাঘমারা এলাকায় মিঠুর চায়ের দোকানের সামনে হৃদয়সহ ১৫/১৬ জন এসে ভিকটিম হৃদয় শেখ ও মিঠুকে মারপিট শুরু করে। তখন আসামি হৃদয় ধারাল চাকু দিয়ে ভিকটিম হৃদয় শেখের বুকের মধ্যে আঘাত করে। পরে হৃদয় শেখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রুপসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামি গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।  

আজ র‌্যাব-৬ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুপসা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হৃদয় শেখ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আাসমি মো. রিয়াদ হোসেন তন্ময় (২২) ও মো. ইমরান আলীকে (২০) গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। 

চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে খুলনার রুপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই