পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে মেঘনা সেতুর মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হবে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো। মেঘনা সেতু হলে বাংলাদেশের পুরো চিত্র পাল্টে যাবে। এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। যা দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে। 

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শরীয়তপুরের সখীপুরের আলুর বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

উপমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যেমন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে, তেমনি শুরু হয়েছে মেঘনা সেতুর কাজও। গত দুই মাসে নদীর চারটি পয়েন্টে সয়েল টেস্টের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে বাকি পয়েন্টগুলোতে কাজ শেষে এ বছরের মধ্যেই মেঘনা সেতু ডিজাইনের জন্য পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশনে মেঘনা সেতু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি দাবি জানিয়েছিলাম। পরবর্তীতে অনেক সভা সেমিনার হয়েছে। এ সেতুতেও রেললাইন সংযুক্ত হবে। ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও নির্বাচিত হয়ে মেঘনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন।

এ সময় ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ূন করিব মোল্লা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ, সখীপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, আনোয়ার হোসেন বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

মেঘনা সেতুর সয়েল টেস্টের কাজে নিয়োজিত ডেভেলপমেন্ট কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ বলেন, নদীর মাঝখানে কাজ করতে একটু জটিলতা রয়েছে। তবে অল্পদিনের মধ্যেই আমরা সয়েল টেস্টের কাজ শেষ করব। এরপর কাজের রিপোর্ট দেব। 

এর আগে সখীপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্ধোধন শেষে অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ করেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর