এখন গ্রীষ্মকাল চললেও গত কয়েক দিন ধরে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে। সারা দিন আকাশে প্রখর রোদের দেখা মিললেও রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। ফলে সকালে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।

জানা গেছে, রাতে শীত বেশি হওয়ায় ফ্যান বন্ধ রেখে কাঁথা, কম্বল দিয়ে উষ্ণ হতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী ষড়ঋতুর এই দেশে এখন দিনে-রাতে খরতাপে মানুষসহ প্রাণীকূলে জীবন ওষ্ঠাগত হওয়ার কথা।

ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, দিনে রোদের কারণে ঠিকমতো ভ্যান চালাতে কষ্ট হলেও রাতে ঠান্ডা লাগে। গভীর রাত থেকে পানির মতো বৃষ্টি পড়তে থাকে। সকালে হালকা গরম কাপড় না পড়লে বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। গ্রীষ্মকালে শীত জীবনে দেখি নাই।

কৃষক সাইফুল হক বলেন, দিনের বেলা রোদ উঠলে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। আবার বাতাস শুরু হলে ঠান্ডা লাগে।রাত বেশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে রাস্তাঘাট। প্রকৃতির যে কি নিয়মে চলছে তা বোঝা মুশকিল হয়ে গেছে।

দিনাজপুর আবহওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত দুদিন বৃষ্টি হওয়ার পর রোদ হওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় এটা হতে পারে। এতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। বরং এতে আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলন ভালো হবে। ২-১ দিন এ ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহ থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি