লক্ষ্মীপুরে জনৈক হুজুরের খানকা শরীফ স্থাপন করে ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি জমে প্রায় ২৫ একর জমির আধাপাকা সয়াবিন নষ্ট হওয়ার পথে। পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় এমন ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বলে জানান কৃষকরা। 

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উভূতি গ্রামে চকবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

কৃষক ইসমাইল হোসেন, আলী আশরাফ ও আব্বাছ হোসেনসহ কয়েকজন জানায়, ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে তারা সয়াবিন চাষ করেছে। ফলন ভালোও হয়েছে। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে আধাপাকা ফসলগুলোতে এখন পচন ধরছে। খানকা শরীফের মাঠ ভরাটের নামে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে সয়াবিন গাছগুলো মরে যাবে। ২০-২৫ একর জমির সয়াবিনসহ অন্যান্য সবজি পচে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। 

কৃষক সফিক বাঘা বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি। কয়েকদিন পর মাঠ থেকে সয়াবিন ঘরে তোলার আশায় ছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির পানি জমে সয়াবিন গাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় এ ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। 

বক্তব্য জানতে খানকা শরীফের পীর এএসএম ওয়াদুদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তার সহকারী পরিচয়ে একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি স্থানীয় কৃষকদের সমস্যার বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। 

ভবানীগঞ্জের ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বৃষ্টির পানি জমে থাকলে সয়াবিন গাছ মারা যাবে। এতে দ্রুত পানি সরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া ক্ষেতে যেন কোনোভাবে পানি আটকা না পড়ে, কৃষকদের সে ব্যবস্থা করতে হবে। 

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি বলেন, স্থানীয় কৃষকরা ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। কৃষকদের স্বার্থে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএএস