কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদে ভাগ্নি মিম খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধারের পর একই এলাকা থেকে খালা চামেলি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজের প্রায় ৭ ঘণ্টা পরে সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের জিলাপীতলা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদ থেকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।  

সোমবার দুপুরের দিকে জিলাপীতলা এলাকায় গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক বখতিয়ার আহমেদ।

মিম খাতুন কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মুলগ্রাম এলাকার গাফফার মোল্লার নাতনি। মিম খোকসা দুধরাজপুর গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। চামেলি খাতুন মুলগ্রামের গাফফার মোল্লার মেয়ে। সাদকী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের তরিকুল রহমানের স্ত্রী। চামেলি সম্পর্কে মিমের খালা। 

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে জিলাপীতলা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদে মিম, তার খালা চামেলী, নানি রাজিয়া (৫৫) ও মামাতো বোন নীলা (১২) গোসল করতে যায়। গোসলের সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে নিঁখোজ হয় মিম। এ সময় মিমকে খুঁজতে গিয়ে নানি, খালা ও মামাতো বোন নিঁখোজ হয়। স্থানীয়রা টের পেয়ে নাানি ও মামাতো বোনকে উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে।

নিখোঁজের প্রায় ৪ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। আর নিখোঁজের প্রায় সাত ঘণ্টা পরে একই এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস।

কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে চামেলি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গোসল করতে গিয়ে দুইজন নদে ডুবে যায়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাজু আহমেদ/এসপি