এবার মহামারি করোনার তাণ্ডব না থাকায় বিধি নিষেধহীন ঈদ উৎযাপন করবেন মুসলিম বাঙালি জাতি। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে আজ থেকেই যাত্রা শুরু করেছে সাভারের শ্রমিকরা। তবে এদের মধ্যে অনেকেই সস্তা ভাড়ায় বেছে নিয়েছেন পিকআপ। ভাড়া আর গরমের বিষয়টি চিন্তা করে পিকআপেই যাত্রা শুরু করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে  দেখা যায়, ছুটির প্রথম দিনেই ঝুঁকি নিয়ে পিকআপে করে যাত্রা করেছেন শ্রমিকরা। প্রায় ১৭ জন যাত্রী নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন চালক আরিফ। যাত্রীরা সবাই পোশাক শ্রমিক।

পোশাক শ্রমিক যাত্রী আনিস বলেন, আমরা বাসের টিকেট করতে পারিনি। আর আমাদের সুযোগও নেই। এবার ফুল মাসের বেতন আমারা পাইনি। অল্প টাকায় বাড়িতে পৌঁছে ঈদ উৎযাপন করে আবার কর্মস্থলে আসতে হবে। সব ধরনের চিন্তা করে বাড়ি ফিরতে হয়। এছাড়া এবার প্রচণ্ড গরম ও ভাড়াও বেশি। তাই বাধ্য হয়েই পিকআপে রওনা করেছি। 

অপর যাত্রী আলম বলেন, পিকআপে কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা প্রতি ঈদে পিকআপেই বাড়ি যাই। পিকআপে গেলে ভাড়াও কম লাগে তাড়াতাড়ি পৌঁছতেও পারি। আমরা পিকআপে যেতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। পিকআপে আগে যেতে ৩০০ টাকা করে নিয়েছে। তবে এবার ৫০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরেও আমরা পিকআপই বেছে নিলাম।

পিকআপ চালক শাহীন বলেন, ৫০০ টাকা করে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে রওনা করেছি। এটাই ঈদের প্রথম রিজার্ভ। সড়কে অনেক সময় পুলিশ আটকিয়ে দেয়। তখন যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে চেকপোস্ট পার হই। চেকপোস্টের পরে আবার যাত্রীরা পিকআপে উঠেন। আমরা তো করোনার দুই বছরের বেশিরভাগ সময় বসে ছিলাম। ঋণে পড়েছি। এবার ভাগা মারতে না পারলে অনেক ঝামেলায় পড়ব।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ঈমাম বলেন, আমাদের সবার যার যার স্থান থেকে সচেতন হতে হবে। টাকার কথা চিন্তা করে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করা ঠিক নয়। পিকআপে যাত্রা নিশ্চিত অনিরাপদ। নিরাপদ যাত্রার জন্য হাইওয়ে কিংবা থানা পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি। 

সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, এখনও পিকআপ ভরা মানুষ আমাদের চোখে পড়েনি। তবে এ ধরনের যাত্রা করলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএএস