মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শুধু মোটরসাইকেল ও যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে ফেরি কুঞ্জলতা। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘাট এলাকা ত্যাগ করে ফেরিটি।

তবে ঘাটে এখনো পাঁচ শতাধিক ছোট গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে সহজেই পদ্মা নদী পার হওয়া যায়। তাই আজ সাহরির পর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে শুরু করে যাত্রীরা। কিন্তু ঘাটে এসে পড়তে হয় তাদের বিড়ম্বনায়। মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাট থেকে শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি পর্যন্ত রাস্তায় দীর্ঘ গাড়ির লাইন লক্ষ করা গেছে।

তবে বিআইডব্লিউটিসি বলছে, এগুলো বাসের সারি‌। যেহেতু বাস ঘাট দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে না, সেহেতু মহাসড়ক থেকে যাত্রী নিয়ে ফিরে যাবে ওই বাসগুলো, যার প্রভাব ঘাটে পড়বে না।

শিমুলিয়া ঘাটে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। তারা গাড়িগুলোকে ফেরির প্লাটুন থেকে দূরে আটকে দিচ্ছে। ফেরি আসার পরই শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে গাড়িগুলোকে ফেরিতে উঠতে দিচ্ছে।

এদিকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দুপুর সোয়া বারোটার দিকে ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন ।

বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক আশিকুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। তারপরও অনুমতি নিয়ে ১০টি ফেরি ২৪ ঘণ্টার জন্য চলাচল করছে।

তিনি আরও বলেন, আজ যেহেতু ২৭ রমজান, সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে গেছে, তাই সাহরি খেয়েই ঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ পড়েছে। আশা করি বিকেলের দিকে চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ঘাটে এখন পাঁচ শতাধিক ছোট গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

ব.ম শামীম/এনএ