ঢাকার ধামরাইয়ে প্রকাশ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা কর্মস্থলেই বহিরাগতদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার দুপুরে গ্রেফতার তিনজনকে ধামরাই থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ধামরাইয়ের ইসলামপুর হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা কাউসার হাবিবের ছেলে জোবায়ের হাবিব (২০), একই এলাকার শওকত আলীর ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮) ও ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়ার্টার এলাকায় বসবাসকারী হাসমত আলীর ভুঁইয়ার ছেলে ইমন ভুঁইয়া (১৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা। এসময় বহিরাগত জোবায়ের হাবিব, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইমন ভুঁইয়া হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরাকে দেখে তারা ওলে ওলে, বলে গান গেয়ে আজেবাজে কথা বলতে থাকে। 

এসময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোবাইলে ভিডিওধারণ করলে তারা হাসপাতালের টিকা বুথে বসে থাকা অপর ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে মোটরসাইকেল যোগে চলে যায়। পরে হাসপাতালের টিকা বুথে বসে থাকা সেই যুবকরা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর রিফফাত আরা বলেন, আমি নিজ কর্মস্থলে প্রকাশ্যে বহিরাগতদের ইভটিজিংয়ের শিকার হলাম। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্সসহ শতাধিক নারী কর্মরত। তাদের নিরাপত্তা আমি কীভাবে নিশ্চত করবে। তারা সবাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আনসার নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

ধামরাই থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুর রিফফাত আরাকে ইভটিজিং করার ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এমএএস