মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চাপ (আকুসার) গ্রামে মসজিদে মিষ্টি বিতরণ করা নিয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাফেজ আল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, কুদ্দুস দপ্তরী ও জমির আলিকে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ‌চাপ (আকুসার) দপ্তরী বাড়ি মসজিদে প্রায় ১ মাস আগে জুমার নামাজের পর মিষ্টি বিতরণ করছিলেন ওই গ্রামের মো. রুবেল দপ্তরী। মিষ্টি বিতরণ পরে কিছু মিষ্টি বেশি হয়ে গেলে সেগুলো মসজিদের ইমাম মো. কুদ্দুসের ছেলেকে দিয়ে দেন রুবেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ওই মসজিদের মুসল্লি মোতালেব মৃধা। 

এ সময় রুবেল দপ্তরীকে চড় থাপ্পর মারেন মোতালেব মৃধা। পরে বিষয়টি আপোস মীমাংশা করে দেন ওই এলাকার লোকজন। এ নিয়ে মোতালেব মৃধা প্রতিনিয়ত রুবেল দপ্তরীকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। 

গতকাল সোমবার (২ মে) সকালে রুবেল দপ্তরীর ছোট ভাই হাফিজ উদ্দিন দপ্তরী আলদী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হাফিজ দপ্তরী মোতালেব মৃধার বাসার সামনে পৌঁছালে তাকে মারধর করেন মোতালেব মৃধা। 

এ ঘটনার পর হাফিজ উদ্দিন দপ্তরী টঙ্গীবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে একই দিন দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে পুনরায় মোতালেব মৃধার বাড়ির সামনে পৌঁছালে মোতালেব মৃধা, তার ভাই ইকবাল মৃধা ও তার ছেলে রিফাত মৃধা বটি দিয়ে কুপিয়ে হাফেজ আল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, কুদ্দুস দপ্তরী ও জমির আলি দপ্তরীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার স্থানীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মোতালেব মৃধা (৫০) ও  তার ছেলে রিফাত মৃধাকে (২২) আটক করেছে। 

এ ব্যাপারে মো. রুবেল দপ্তরী বলেন, মোতালেব মৃধার নামে আগেও মামলা ছিল। সে ৪ বছর আগে ৩ মাস জেল খেটে এসে এলাকায় ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক নিজে খায় এবং বিক্রি করে।

এ বিষয়ে যশলং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য রূপচাঁন মাদবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুনেছি এক মাস আগে মসজিদে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে দুই গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে। সেই জের ধরে সোমবার মোতালেব মৃধার বাড়ির সামনে দিয়ে আসার সময় হাফেজ আল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, কুদ্দুস দপ্তরী ও জমির আলি দপ্তরীকে মোতালেব মৃধা ও তার ছেলে মারধর করেছে।

এ ঘটনায় টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশে ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। 

ব.ম শামীম/এমএএস