ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। নগরীর হোটেল-মোটেলগুলোর প্রায় সব বুকিং হয়ে গেছে। বুধবার (৪ মে) নগরীর বেশিরভাগ জায়গায় পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে। সন্ধ্যার পরও পরিবার-পরিজন নিয়ে পর্যটকদের নগরীতে আসতে দেখা যায়।

 প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, মালনিছড়া চা বাগান, সাদা পাথর এবং রাতারগুলসহ বিভিন্ন স্পটে দিনভর ছিল পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। এ সকল পর্যটনকেন্দ্রের বেশিরভাগই ছিল লোকে লোকারণ্য।

সাদা পাথর থেকে ঘুরে আসা মুন্সীগঞ্জের তানিয়া ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এতদিন সাদা পাথরের ছবি ফেসবুকে দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে সাদা পাথর তার চেয়েও সুন্দর। সাদা পাথরকে সৃষ্টিকর্তা এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন, যার কোনো তুলনাই হয় না। কখনো যদি আবার সিলেট আসা হয়, তাহলে আমি অবশ্যই সাদা পাথর যাব। যদিও ঘাটে নৌকা পেতে একটু বেগ পেতে হয়েছে তারপরও সাদা পাথর আমার মন জয় করে নিয়েছে।

পর্যটকদের উপস্থিতি এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোম্পানিগঞ্জ থানা পুলিশ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। দুজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে আমাদের ১০ জন পুলিশ সদস্য সাদা পাথর পিকনিক স্পটে রয়েছে। আজকে পর্যটকের ঢল থাকার কারণে নৌকা পেতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আগামীকাল থেকে আমরা নৌকার টিকিটের কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি এবং  নৌকার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ঘাট মালিককে বলে দিয়েছি।

সিলেটে ঘুরতে আসা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আইটি কর্মকর্তা সুমন আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিলেট বরাবরই আমার পছন্দের জায়গা। সিলেটে এসেছি দুটি কারণে। একটি হচ্ছে শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করা আর অন্যটি হচ্ছে সিলেটের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।

জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে খুব একটা পর্যটক আসতে পারেননি। এ বছর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে হাজির হয়েছেন জাফলং এলাকায়। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। 

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা ও গণমাধ্যম) মো. লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিলেটের ১০টি পর্যটন স্পটকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। পর্যটকদের হয়রানি রোধে সব ধরনের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর