গ্রেপ্তার আবুল কাশেম

নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের হাইছ উদ্দিনের মেয়ে প্রসূতি শরীফা আক্তার (১৯) ও তার নবজাতক ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পশু চিকিৎসক আবুল কাশেমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে তাকে নেত্রকোণা আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আবুল কাশেম বারহাট্টা উপজেলার জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মারা যাওয়া প্রসূতির স্বামী মহসিন মিয়া বাদী হয়ে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।

জানা গেছে, ২০২১ সালে সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার মহসিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শরীফার। গত সপ্তাহে সন্তান প্রসবের জন্য বাবার বাড়ি নেত্রকোণার বারহাট্টার চন্দ্রপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে আসেন তিনি। বুধবার (৪ মে) প্রসব ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন পশু চিকিৎসক আবুল কাশেমকে খবর দেন। তিনি তাদের বাড়িতে এসে নিজেই শরীফার জরায়ু সামান্য কেটে সন্তান প্রসব করান। একটি ছেলে সন্তানের জন্মও হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মারা যায় শরীফা ও তার নবজাতক শিশুটি। তখন স্থানীয়রা পশু চিকিৎসক আবুল কাশেমের ওপর চড়াও হলে তিনি কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

পশু চিকিৎসক আবুল কাশেম বলেন, সন্তান প্রসবের পর ওষুধ আনতে লোক পাঠানো হয়েছিল। দূরের পথ, ওষুধ ও সেলাইয়ের সরঞ্জাম আনতে দেরি হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

জিয়াউর রহমান/আরএআর