গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় জমি দখলে নিতে আওয়ামী লীগের এক নেতার ১৫ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে ৯ বিঘা ফসলি জমির পানের বরজ, বেগুন ও কচু খেত ধ্বংস করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামীম মিয়া। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ মে) পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের পশ্চিম গুপিনাথপুর গ্রামে ১২ বিঘা জমির মালিকানা ও মামলা-মোকদ্দমার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত মঞ্জু মিয়ার ছেলে বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া ১২ বিঘা জমি ১৯৬৮ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমিতে তিনি ১৫০০ কলাগাছ লাগান। এ ছাড়া ২০ শতক জমিতে পানের বরজ, ১৬ শতকে কচু ও ৩৩ শতকে বেগুন আবাদ করেন। একই বংশের মৃত ছামছুল হকের ছেলে খোরশেদ মিয়া ওই জমি তার পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে তা দখলে নিতে বৃহস্পতিবার সকালে বাগানের সব কলাগাছ কেটে ফেলেন ও জমির ফসল ধ্বংস করেন।

ভুক্তভোগী শামীমের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খোরশেদ ও তার লোকজন বাগানের কলাগাছ কর্তন ও ফসলের খেত ধ্বংস করেছে। এর জেরে সকাল ৯টার দিকে খোরশেদের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের মারপিটে ৯ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর ৬ জনকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

ফসল কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদ বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে শামীমরাই ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। ২০০৬ সালে জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। মামলার রায়ের সূত্র ধরেই আমি ওই জমি দখলে নিতে ফসল কর্তন করেছি। এ ঘটনায় তিনিসহ আরও ২ জন আহত অবস্থায় পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।

রিপন আকন্দ/আরআই