‘আগুনে সব ছাই করে দিল, পথের ফকির হয়ে গেলাম’
‘ঈদের দুই সপ্তাহ আগে প্রায় কোটি টাকার ইলেকট্রনিক পণ্য দোকানে এনেছিলাম। যার মধ্যে ফ্রিজ, এয়ারকুলার, এলইডি টিভি, বৈদ্যুতিক ফ্যানসহ অনেক রকমের পণ্য ছিল। আগুনে সব ছাই করে দিল। আগুন আমার সব শেষ করে দিল। আমার কিছুই অবশিষ্ট নাই, আমি পথের ফকির হয়ে গেলাম।’
কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারের স্বপন ইলেকট্রনিকসের মালিক মো. শওকত মিয়া।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৬ মে) ভোর রাতে শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে পুড়ে যায় ইলেকট্রনিক, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মোবাইলের দোকান, জুয়েলার্স ও মেডিকেল হলের সব মালামাল।
মিম ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মো. মিজান মিয়া বলেন, আমার ঈদের সব আনন্দ দ্রুতই শেষ হয়ে গেল। আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেলাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ভোরে দেখতে পাই কুসুমহাটি বাজারের কয়েকটি দোকান থেকে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপর আগুন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ৯৯৯ এ কল দিই। খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘণ্টাখানেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে সব শেষ।
এ ব্যাপারে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টাফ অফিসার এসএম মহসিন অনিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এরপর শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ৬০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আমরা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছি।
জাহিদুল খান সৌরভ/আরএআর