ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে বাড়তে শুরু করে গাড়ির চাপ। তবে শনিবার (০৭ মে) সকাল পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে যানবাহন।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায়। বিকাল ৪টার দিক থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। শুক্রবার রাত থেকে মহাসড়কে যানবাহন বাড়লেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারসহ জেলার ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

এর আগে রোববার (০১ মে) বিকেল থেকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী লেনে গাড়ির চাপ কমতে থাকে এবং রাত থেকেই ফাঁকা হতে থাকে মহাসড়ক। সোমবার সকাল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কমে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক একদম ফাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে মহাসড়কে ঢাকাগামী কিছু গাড়ি বাড়লেও তুলনায় খুবই কম ছিল। এরপর শুক্রবার বিকেল থেকে মহাসড়কে ঢাকাগামী লেনে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক শনিবার সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন,  শুক্রবার বিকেল থেকে ঢাকাগামী লেনে গাড়ির চলাচল বেড়েছে। গভীর রাত থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে শুরু করলেও কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। ধারণা করছি আজ থেকে মহাসড়কে আরও বেশি গাড়ির চাপ থাকবে। সেই অনুযায়ীই আমরা কাজ করছি। তবে ঈদ পূর্ববর্তী সময়ের মতোই আমরা মানুষের যাত্রা সুন্দর ও নির্বিঘ্ন করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় গাড়ির চাপ একটু বাড়লেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা কর্মজীবী মানুষদের কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। মহাসড়কের হাইওয়ে থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা আছে। কর্তৃপক্ষকে বলে গোলচত্বর এলাকার মহাসড়কের ভাঙা ও গর্তগুলো মেরামত করিয়ে নিয়েছি। আশা করছি ঈদ পরবর্তী যাত্রাতেও মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি থাকবে না।

শুভ কুমার ঘোষ/এসপি