১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে ২০ বছর আত্মগোপনে ছিলেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার আব্দুস সাত্তার (৬৫)। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, শুক্রবার (৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মেয়ের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা এলাকা থেকে তাকে গ্রোপ্তার করেছে পুলিশ।

আব্দুস সাত্তার তানোরের কলমা ইউনিয়নের কিসমত বিল্লী এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত গরিবুল্লাহ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার (৭ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মধ্যেমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, তিনি কুখ্যাত ডাকাত ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ৯ মার্চ তানোর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা হয়। মামলা নম্বর-৮। পরে আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলায় আসামি আব্দুস সাত্তারের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন রাজশাহীর দায়রা জজ আদালত। এসইসঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেয়ের বাড়ি থেকে সাজা পরোয়ানা মূলে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, আদালতে কারাদণ্ড হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান আব্দুস সাত্তার। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে মেয়ের বাড়ি চাঁপাইনবোবগঞ্জ সদরের গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা এলাকায় আসতেন। কিন্তু নিজ এলাকায় ফেরেননি ২০ বছর।

শুক্রবার দিবাগত রাতে মেয়ের বাড়িতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই