শরীয়তপুরের মাঝির ঘাটে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে যাত্রী ও চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

শনিবার (৭ মে) সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়ছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান বিআইডব্লিউটিএর মাঝির ঘাটের ইনচার্জ আবদুল্লাহ ইনাম।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি ফেরিঘাটে সকাল থেকে যানবাহন আসতে থাকে। দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় দিন দিন যানবাহনের চাপ বাড়ছে এ ঘাটে। ঘাটে ফেরি কম হওয়ায় যানবাহন পারাপারে ধীরগতি। ফলে জট বাঁধছে গাড়ির। এই রুটে যাত্রীবাহী বাস না চললেও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হয় বেশি।

শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের যাত্রীরা এ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করছে। কিন্তু ঘাট এলাকার রাস্তাগুলো সরু হওয়ায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের পাশাপাশি যাত্রীরা লঞ্চে ঘাট পার হয়ে লোকাল বাসে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০টি লঞ্চ, ৫০টি সি-বোর্ড ও ৫টি ফেরি দিয়ে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বরিশাল থেকে মোটরসাইকেল আসা রহমান মিয়া বলেন, কাল থেকে ছুটি শেষ। আজ ঢাকা না যেতে পারলে কাল সমস্যা হয়ে যাবে। তাই আজ চলে যাচ্ছি। ঘাটে অনেক সিরিয়াল। পার হতে সময় লাগছে। আবার ফেরি আসতেও দেরি হচ্ছে।

মোটরসাইকেলের যাত্রী হাকিম উদ্দিন বলেন, এই রুটে দীর্ঘ সময় নিয়ে ফেরি আসা-যাওয়া করছে। এতে যানবাহনের জট বাঁধছে। আমি তিন ঘণ্টা ধরে ঘাট আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পাইনি। গরমে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি।

বিআইডব্লিউটিএর ইনচার্জ আবদুল্লাহ ইনাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার সকাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভোগান্তি ছাড়া যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে পারে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ