খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছেন। বাজারে পুরানো দামে কেনা সয়াবিন তেলের বোতলের লেভেলে দাম পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। 

তিনি বলেন, বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর, কৃষি বিপণন দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার সাথে সাথে বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।

রোববার (৮ মে) খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মে মাসের সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, ধর্মীয় উষ্কানিমূলক যেকোনো বিষয়ে সবাইকে অধিক সচেতন থাকতে হবে। কোথাও সাম্প্রদায়িক ঘটনা কিংবা সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া বিষয়ক তথ্য পেলে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার জন্য তিনি সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। 

তিনি বলেন, পুলিশের থানা বা ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার শিকার হলে অবশ্যই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কোভিড প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হলো বড় হাতিয়ার। খুলনা জেলায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করা ব্যক্তিদের ৬৮ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। তবে বুষ্টার ডোজ গ্রহণের হার সন্তোষজনক নয়।

সিনিয়র জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জী জানান, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারিভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা সভায় জানান, বিগত মাসে জেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ৩৪টি উঠান বৈঠক হয়েছে এবং তিনটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

এসময় জানানো হয়, খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত এপ্রিল মাসে ১৭৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিগত মার্চ মাসে জেলায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে ১৬টি বেশি।

খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে ১৩২টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মার্চ মাসে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ১৩টি কম ।

সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস