বরাবরের মতোই ঈদের ছুটি উদযাপনে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের জায়গা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ফলে এবার ঈদুল ফিতরেও কক্সবাজারে ৫ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছে। তবে ভ্রমণ শেষে ঘরে ফিরতে তাদের দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (০৮ মে) রাতে কলাতলী বাস কাউন্টারে গিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পর্যটকরা বলেন, বাসের টিকিট সব কালোবাজারিদের হাতে। একটি টিকিটের বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। কক্সবাজার আসার চেয়ে ফেরার পথে দ্বিগুণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক মোহাম্মদ ফুয়াদ হোসেন জানান, তিনি ঈদের তৃতীয় দিন দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসেছেন ১১০০ টাকা দিয়ে। অথচ টিকিটের স্বাভাবিক দাম ছিল ১০০০ টাকা। ফেরার পথে কালোবাজারে এই পরিবহনের বাসের টিকিট কিনতে হয়েছে ১৪০০ টাকায়। এরপরও অতিরিক্ত মালামালের কথা বলে বাসের হেলপার ৫০ টাকা নিয়েছেন।

খুলনা থেকে এসেছেন মেহেদী হাসান সবুজ নামে একজন। তিনি অভিযোগ করে জানান, তার কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ১২০০ টাকার টিকিট নিয়েছেন ১৫০০ টাকা দিয়ে।

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ঈদের পরের দিন কালোবাজারিরা বাসের মালিক ও কাউন্টারের লোকজনের সঙ্গে মিলে টিকিট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। টিকিট বিক্রেতাদের সঙ্গে যাদের সখ্য রয়েছে তারা তুলনামূলক কম ভোগান্তিতে কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন। অন্যদের কয়েক ঘণ্টা ঘুরে টিকিট কিনতে হয়েছে।

কক্সবাজার থেকে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের রুটের ঈগল, হানিফ, সোহাগ ও গ্রিন লাইন পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাউন্টার থেকে নির্ধারিত মূল্যে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু সুযোগ বুঝে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা কাউন্টার থেকে বিপুলসংখ্যক টিকিট কিনে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। উচ্চ মূল্যে তারাই টিকিট বিক্রি করছে।

সাইদুল ফরহাদ/এসপি