ঠাকুরগাঁওয়ে ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা। কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে অকটেন পাওয়া গেলেও দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকার পরিমাণ, এর বেশি দেওয়া হচ্ছে না। ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন না পাওয়া গেলেও খোলা বাজারে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বকসের হাট, ঢোলারহাট, রাজাগাঁও ও ভগদগাজী বাজারে বোতলে করে বিক্রি করা হচ্ছে পেট্রোল ও অকটেন। দুদিন আগেও যে পেট্রোলের বোতলটি বিক্রি হতো ১০০ টাকায়, সেই বোতলের দাম এখন ১৪০ টাকা। প্রতি লিটারে খোলা বাজারে ৪০ টাকা অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে পেট্রোল। উপায় না পেয়ে চড়া দামে পেট্রোল-অকটেন কিনতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। 

খোলা বাজারে তেল কিনতে আসা মোটরসাইকেল চালক রিপন আহমেদ বলেন, শহরের ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল পেলাম না। গাড়িতে পেট্রোল প্রায় শেষ। আরও ৩০ কিলোমিটার গাড়ি চালাতে হবে। খোলাবাজার থেকে পেট্রোল কিনলাম এক বোতল ১৪০ টাকা দামে। এক লিটার পেট্রোলে ৪০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনতে হলো। উপায় না পেয়েই কিনেছি। 

আরেক ক্রেতা জিলানি বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল, এবার পেট্রোল-অকটেনের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। পাম্পে পেট্রোল আর অকটেন নেই। তাহলে খোলা বাজারের দোকানদাররা কোথা থেকে পেল। বোতলে করে বিক্রি করে তাও আবার ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশিতে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পেট্রোল বিক্রেতা বলেন, আমার কাছে ৫০ লিটার পেট্রল রয়েছে। আমি একজনের কাছে প্রতি লিটার ১২০ টাকা করে কিনেছি। আমার যাতায়াত খরচ ও লাভসহ আমি প্রতি লিটার ১৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। যারা বোতলে করে বিক্রি করছে তারা সবাই এ রকম দামে বিক্রি করছেন। 

ঠাকুরগাঁও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক জানান, ডিপোতে গাড়ি পাঠানো হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা করছি।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যারা অতিরিক্ত দামে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এম এ সামাদ/আরএআর