ফরিদপুরে মজুত করা ৪ হাজার বোতলজাত ও ৮০০ লিটার খোলা সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তেল গুদামজাতে জড়িত ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ দিনের জন্য ওই ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (১৪ মে) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শহরের শরীয়তুল্লাহ বাজার ও শোভারামপুর এলাকায় এ অভিযান চালনো হয়। পরে জব্দ করা তেল গায়ের দামে এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী, জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ, জ্যেষ্ঠ জেলা বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন ও জেলা সেনিটারি পরিদর্শক বজলুর রশিদের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চালানো হয়। 

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের শরীয়তুল্লাহ বাজারে শহরের রঘুনন্দনপুর হাউজিং এলাকার বাসিন্দা সুশীল পোদ্দারের ছেলে কানাইলাল পোদ্দারের (৪৫) একটি মুদী দোকান আছে (সুবল স্টোর)। শোভারামপুর এলাকার জনৈক কালীপদ সাহার বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি সেটি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন।

অভিযানে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ জেলা বিপণন কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় শহরের শরীয়তুল্লাহ বাজার এলাকায় অবস্থিত সুবল স্টোরে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত রয়েছে। তবে অভিযানে গিয়ে ওই দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানা যায় শহরের শোভারামপুর এলাকায় সুবল স্টোরের মালিক কানাইলাল পোদ্দারের গোডাউন আছে। ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে কানাইলাল পোদ্দারকে ডেকে আনলে তিনি সয়াবিন তেল মজুত করার কথা স্বীকার করেন। 

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালীর উপস্থিতিতে গোডাউন খুলে এক লিটার, দুই লিটার, পাঁচ লিটার ও আট লিটার ওজনের বোতলজাত ৪ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাঁচটি ব্যারেলে ৮০০ লিটার খোলা তেলও জব্দ করা হয়।
পরে বোতলজাত তেল গায়ের মূল্যে পাঁচ লিটার ৭৬০ টাকা এবং আট লিটার এক হাজার ২৫৬ টাকা দরে এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার আইনের ৪০ ও ৪৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে ওই দোকানটি (সুবল স্টোর) ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জহির হোসেন/আরআই