প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত। বাকি তিন সহকারী শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও বিদ্যালয়ের ২২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত আছে মাত্র ৫০ শিক্ষার্থী। হাজিরা খাতায় নেই কোনো শিক্ষার্থীর নাম।

শনিবার (১৪ মে) সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে এমন অবস্থা দেখেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকি।

জানা গেছে, স্কুলে গিয়ে ইউএনও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসে প্রবেশ করেন। এ সময় ওই শ্রেণির ৫৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল মাত্র ১০ জন। হাজিরা খাতা খুলে দেখেন শ্রেণিশিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীর নাম ওঠাননি। প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তারের অনুপস্থিতির বিষয়ে অন্য শিক্ষকরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ইউএনওকে।

ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, মাজনাবাড়িতে অন্য প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখে হঠাৎ প্রবেশ করি। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে দেখি চার শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ছাড়া তিন শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পরে জানতে পারি ওই প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুল করেন না। তার ভাই আলমগীর হোসেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনিই সব সমাধান করেন। প্রধান শিক্ষক তার ঊর্ধ্বতন কারও কাছ থেকে ছুটিও নেননি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চরের বিদ্যালয়গুলোতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। লোকবল স্বল্পতার কারণে সঠিক মনিটরিং করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মাজনাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা ইউএনও স্যার জানিয়েছেন। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ