লাইসেন্স দেওয়ার নামে বরিশালে শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা, ২০ টাকা করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা ঘটে (মাটির ব্যাংক) জমানো টাকা দিয়ে নির্বাচন করেন এ কথা বলে বেড়ান। অথচ শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা, ২০ টাকা করে উত্তোলিত চাঁদাবাজির টাকা একসঙ্গে করা হলে কত টাকা হয়, হিসাব করুন।

সোমবার (১৬ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা ও মহানগর (ইজিবাইক) ব্যাটারিচালিত অটো শ্রমিক কল্যাণ সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন মেয়র।

সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, তারা জানে সিটি কর্পোরেশন লাইসেন্স দিলে তাদের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। আর বিআরটিএ লাইসেন্স দিলে তাদের চাঁদাবাজি চলবে। এ কারণে তারা বিআরটিএর কাছে লাইসেন্স চাইছে। অথচ সরকারের আইন অনুযায়ী হালকা যানের লাইসেন্স দেওয়ার এখতিয়ার শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের।

সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, একজন আছেন যিনি অটোরিকশা শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করছেন। আজও (সোমবার) তিনি সিটি কর্পোরেশনে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি দেখেছি সেই স্মারকলিপি। শ্রমিকদের দাবির কথা বলে স্মারকলিপি দিলেও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের স্মারকলিপিতে শ্রমিকদের কোনো কথা লেখা নেই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমি বলেছিলাম অটোরিকশা চলাচলে বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেব। আমি সেই কথা রেখেছি। আমি সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন লাইসেন্স শাখা বন্ধ করে দিয়েছি। এ দপ্তর বন্ধ করে দেওয়ায় বছরে আমার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তারপরও আমি শ্রমিকদের কল্যাণ তা বন্ধ রেখেছি।

এ সময় মেয়র ঘোষণা দেন, আমি কথা দিচ্ছি আগামী তিন মাসের মধ্যে আপনাদের লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর এই অটোরিকশা সব রাস্তায় চলাচল করবে।

এর আগে বেলা ১১টায় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স নিয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখা। এ সময় তারা নগরীর সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পার্কিং স্ট্যান্ড নির্ধারণের দাবিও জানান। পরে পুলিশি পাহারায় নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক, বিআরটিএ পরিচালক এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএসএইচ