আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে আম পাকার আগেই কেউ যদি অপরিপক্ব আম বাজারজাত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাছে আম পাকা দেখা দিলে তবেই তা বাজারে নামাতে পারবেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে নিরাপদ আম উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।

তিনি বলেন, জেলার আম ব্যবসায়ী, আড়তদার ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ বছর আম বাজারজাতকরণের জন্য কোনো সময়সীমা থাকছে না। গাছে আম পাকলে তবেই তা বাজারজাত করতে পারবেন কৃষকরা। এ ছাড়া নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনে মনিটরিং কমিটি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সব সময় সক্রিয় থাকবে। অপরিপক্ব আম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম বলেন, আমবাগানে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ রোধ করতে বাগানমালিকদের লকবুক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে আমের মুকুল আসা থেকে আম পাড়া পর্যন্ত গাছে কীটনাশক প্রয়োগের পরিমাণ ও সময় উল্লেখ করা থাকবে। এতে বাইরের ক্রেতারা সব তথ্য দেখে নিশ্চিত হয়ে আম কিনতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সারা দেশে আম পরিবহনব্যবস্থাও স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কুরিয়ার সার্ভিস ও অনলাইনে আম পাঠানোর সব ধরনের সুযোগ থাকবে। ভোক্তারা যাতে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হন, এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে প্রশাসন।

এ ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম স্বল্পমূল্যে পরিবহনের জন্য এ বছরও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মে মাসের শেষের দিকে এ স্পেশাল ট্রেনটি উদ্বোধন করা হবে। যাতে খুব কম খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা ঢাকায় আম পাঠাতে পারেন, জানান জাকিউল ইসলাম।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, আমবিজ্ঞানী, আমবাগান মালিক, আম রপ্তানিকারক, আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এনএ