কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু

বাড়িতে কাফনের কাপড় পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষ। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন থেকে  সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু।

তবে তার দাবি- কাউকে ভয় পেয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাননি। নির্বাচন থেকে সরে গেছেন মায়ের নির্দেশে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি জানান। 

জানা গেছে, কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি গত ১২ মে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মে) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বাবা কাজী নজরুল ইসলাম টিটু সোনারগাঁ থানার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পদধারী বিএনপি নেতা।

পরিবারের সদস্য ও কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু।

তিনি বলেন, আমি মনোনয়নপত্র ক্রয় করার পর থেকেই আমার কর্মী-সমর্থক ও স্বজনদেরকে প্রতিপক্ষের লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। সর্বশেষ আমার নারায়ণগঞ্জের বাসায় দরজার সামনে কে বা কারা কাফনের কাপড় রেখে গেছে। তবে এ ঘটনায় আমি মোটেও আতঙ্কিত বা বিচলিত হইনি। তবে আমার মায়ের নির্দেশে ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, অষ্টম ধাপে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে আগামী ১৫ জুন মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানা যায়। নির্বাচনে প্রার্থীর বৈধতা যাচাই বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৭ মে।

আরএআর