নওগাঁ থেকে ধান কেটে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে ট্রাক উল্টে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও সাতজন ধানকাটা শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ মে) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের পাওয়েল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বহালাবাড়ির মৃত মুনসুর আলীর ছেলে মন্টু আলী (৪০), একই উপজেলার দুখুর মোড় কুথানিপাড়া এলাকার ইলিয়াস আলীর ছেলে মো. বুলবুল (৩৫) ও সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সতেররশিয়া চামা গ্রামের নওশেদ আলীর আসাদুল ইসলাম (২৬)। 

নিহতের স্বজন, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জের এক দল ধানকাটা শ্রমিক নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়েছিলেন। ধানকাটা শেষে ট্রাকবোঝাই ধান নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। আমনুরা-নয়াগোলা রোডের পাওয়েল নামক স্থানে আসলে ধানবোঝাই ট্রাকটি উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।

এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন বুলবুল। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি ধানকাটা শ্রমিকদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মন্টু আলী। জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে যাওয়ার পথে মারা যান আসাদুল ইসলাম। 

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সতেররশিয়া চামা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ভাদু (২৬), একই গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে রিপন আলী (২৫), মৃত নেছের আলীর ছেলে সাইদুর রহমান (৩২), শফিকুল ইসলামের ছেলে খোকন আলী (৩০), মাইনুল হকের ছেলে সামশুল হক (৩৩), মিজানুর রহমান (২৭) ও ধানকাটা শ্রমিক দলের সর্দার মৃত আয়েশ উদ্দিনের ছেলে সহবুল ইসলাম (৫০)। 

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহনাজ সুলতান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলেই এক শ্রমিক এবং হাসপাতালে এক শ্রমিক নিহত হন। পরে বাকি শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। নিহত বুলবুল ও মন্টুর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে রাজশাহী যাওয়ার পথে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ এখনো পৌঁছায়নি। 

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর