প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটাররা ভোট দিতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হলে তাদের প্রতিবাদ করতে হবে। ভোটাররা যদি প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তাহলে ভোটাধিকার প্রয়োগটা অনেক বেশি সহজ হবে।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে সাভার উপজেলা চত্বরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জন করতে হবে। আমি মনে করি আজকে যারা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা ইয়ং তারা কিন্তু আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সৎ এবং অনেক বেশি সাহসী। ভোটাধিকার প্রয়োগে এমন ভোটারদের আরও দায়িত্ববান হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে। আমরা শিগগরই বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো আলোচনার জন্য। ইভিএমের সক্ষমতা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আরও কী পরিমাণ সক্ষমতা দরকার এ নিয়ে আমরা সভা করবো। তারপর ইভিএম বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে একাই কিছু বলা যাচ্ছে  না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের সংস্কৃতি কেমনভাবে যেন গড়ে উঠেছে। নির্বাচনের সময় আমাদের সহিংসতা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই জিনিসটা সত্যিই বেদনাদায়ক। এই চর্চা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগে সহিংসতা হয় না। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে সবাই গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

সিইসি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় আমাদের প্রেশার নিতে হয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনই নির্বাচন সফল করতে পারবে না। যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আছেন, প্রশাসনের জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনে বলে দেওয়া আছে আমাদের কমান্ড  থাকবে তাদের ওপর। তারপরও তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা নতুন একটি কমিশন। আমাদের কিন্তু আন্তরিক প্রত্যাশা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিশ্বাস করি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, গণতন্ত্র বিকশিত হোক। একই সঙ্গে ভোটের মাধ্যমে একটা দায়িত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হোক। পার্লামেন্টে তর্কবিতর্কের মাধ্যমে জনগণের অধিকারও সংরক্ষিত হোক। ধীরে ধীরে আমরা একটি উন্নত রাষ্ট্র ও উন্নত গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হই- এটাই প্রত্যাশা করি।

নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর