ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ সাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এদের মধ্যে দুই নারীসহ পাঁচজনই রোহিঙ্গা। 

আটকরা হলেন- নেত্রকোনা সদরের ইলিয়াস কাদের বাবুল (৪৩), ময়মনসিংহ নগরীর চরকালীবাড়ী এলাকার নাজমুল হুদা (২৬), রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ারা আক্তার রোজিনা (২৬), খালেদা আক্তার (৩৮), মো. শাহেদ (২২), নজরুল ইসলাম (২৯) ও মো. তৈয়ব (২০)। 

শনিবার (২১ মে) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ইসলাম।

তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর চরকালীবাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি ভাড়া বাসার দুটি কক্ষ থেকে সাত হাজার পিস ইয়াবা, ৩৪ বোতল বিদেশি মদ ও মাদকবিক্রিত এক লাখ টাকাসহ সাতজনকে আটক করা হয়। পরে আটকদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আটকরা টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে ময়মনসিংহে মজুত করে বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন।  

রোহিঙ্গা নারী রোজিনাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন এই চক্রের মূল হোতা ইলিয়াস কাদের বাবুল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রায় বছর খানেক আগে রোজিনাকে বিয়ে করে ময়মনসিংহের চর কালিবাড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন বাবুল। এরপরই তিনি মাদক ব্যবসায় জড়ান। রোজিনার মাধ্যমে তৈরি করেন একটি চক্র। সেই চক্রের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ইয়াবা আনা হতো ময়মনসিংহে। সেগুলো বাসায় মজুত করে দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেন। 

তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে স্থানীয়ভাবে তিনি কোনো মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ইয়াবা ও বিদেশি মদ বিক্রি করতে না। নজরদারি ও গ্রেপ্তার এড়াতে এটিই তার ব্যবসায়িক কৌশল ছিল বলে মনে করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ইসলাম। 

তিনি বলেন, আটকদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে আমরা চেষ্টা করে যাব। 

উবায়দুল হক/আরএআর